আবু সাইদ বিশ্বাস: সুফল পাচ্ছে না সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা রইচপুর খালের উপর নির্মিত ৬০ মিটার সেতু । প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়েছে ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি নির্মাণ সেতুর সংযোগ সড়ক । উৎপাদিত ফসল ও অন্যান্য পণ্য জেলা শহরে নিতে বিকল্প পথে (প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে) যেতে হচ্ছে, যা খরচ ও সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবাগুলো এই পথে চলাচল করতে পারছে না, যা জীবন রক্ষাকারী সেবার ক্ষেত্রে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। জমি অধিগ্রহণ করতে না পারায় ঝুঁলে আছে সেতুটির সংযোগ সড়কের কাজ বলে জানান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
সূত্রমতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর খালের ওপর ২০২১ সালে শুরু হয় পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণকাজ। দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সল্যুশন ডিজাইন। সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের নভেম্বরে। কিন্তু চার বছর পেরিয়ে ২০২৫ সালের জুনে শেষ হয় নির্মাণ কাজ। সদর উপজেলার ঘোনা, শিবপুর, আগড়দাড়ী ও আলিপুর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যাতয়াতের মাধ্যম এই সেতু।
স্থানীয় আব্দুর রহিমন জানান, নদীর উপর সেতু নির্মাণের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেলেও সেতু নির্মাণের পর আর সেটি নেই। সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। একই কথা জানালেন খড়িবিলা গ্রামের, রুহুল আমি, আব্দুল হামিদ, জাহাঙ্গীর, আবুল কাশেম।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘গত ৪—৫ বছর আমরা প্রচণ্ড ভোগান্তিতে আছি। কত ভ্যান যে পানিতে ও খালে পড়ল তার কোন ঠিক নেই।’
এলজিইডি বলছে, ব্রিজের মূল অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কিছু কাজ আটকে আছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার বিষয়ে চেষ্টা চলছে বলছেন কর্মকর্তারা।
এলজিইডি সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌশলী এ, এস, এম তারিকুল হাসান খান বলেন, ‘জমি ও নকশা সংক্রান্ত জটিলতায় আমাদের কাজ করতে কিছুটা সময় বেশি লাগছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের মূল স্থাপনার কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি অংশের কিছু কাজ জমি সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে আছে যা আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছি।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে এই সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু করে।
ক্রাইম বার্তা