ক্রাইমর্বাতা রির্পোট:সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের এক আমদানী-রপ্তানী কারক কর্মচারীকে বিজিবি কর্তৃক এলসির টাকাসহ আটকের পর ফেন্সিডিলসহ চালান দেওয়ার ঘটনায় আমদানী-রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে তারা এ লিখিত বিবৃতি দেন।
আমদানী-রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোঃ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত উক্ত লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোমরা বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কারক শামীম হেসেনের প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টার প্রাইজ, দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন (যার ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন নং-১৫০৭১০৫০৮৬৭)। এরই ধারা বাহিকতায় গত ২৯.০৪.১৯ তারিখ সোমবার দুপুর ২.৩০ ঘটিকায় শামীম এন্টার প্রাইজের কর্মচারী রাজু ইসলামের কাছে ৭ লাখ টাকা দিয়ে এলসি করার জন্য ন্যাশনাল ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় ভাউচারসহ পাঠানো হয়। রাজু ওই টাকাসহ ভোমরা বন্দরের বাঁশকল এলাকায় আসা মাত্রই টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে। এ সময় রাজুর কাছে ব্যাংকের জমা ভাউচার ও টাকার ফিগারও ছিল। কিন্তু তারপরও বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে ৭ লাখ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে এবং ২ বোতল ফেন্সিডিলসহ রাজুকে সীমান্ত এলাকায় আটক দেখিয়ে মামলা দেয়া হয়। অথচ ওই সময় তার কাছে ৭ লাখ টাকা ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। যা স্থানীয় অনেক লোকজন দেখেছেন এবং প্রমানও রয়েছে। পরে ওই আমদানী-রপÍানী কারক শামীম হোসেন তার সকল কাগজপত্র নিয়ে ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পে গেলে সেখানে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিজিবির এ ধরনের কর্মকান্ডে আতংকিত হয়ে পড়েছেন আমদানী-রপ্তানী কারকরা। ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বিজিবির এ ধরনের আগ্রাসন মূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকলে ভোমরা বন্দরে ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে এবং সাধারন মানুষ বিনা কারনে হয়রানী হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমদানী-রপ্তানী কারক এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
Check Also
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সকাল ১০টার …