পাইকগাছায় শিবসা ব্রীজ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত : হতাহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে

ক্রাইমবার্তা রিপোট:জি,এ, গফুর, পাইকগাছা   পাইকগাছায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে শিবসা ব্রীজ। বহু লোকের হতাহতের স্বাক্ষী হয়েছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা পিছু ছাড়ছে না। আর কত জীবন ও পঙ্গুত্ব বরণ করলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। হতভাগ্য এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। 23
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা, গড়ইখালী, লতা, দেলুটি ও লস্কর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী দাকোপ থনার লাখ লাখ মানুষের চলাচলের কথা বিবেচনা করে সরকার ১৯৯৫ সালের ৮ এপ্রিল সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী পাইকগাছা পৌরসদরে কোল ঘেষে বয়ে যাওয়া শিবসা নদীর উপর শিবসা ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যা ২০০৪ সালে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তৈরী করা হয় ব্রীজের দু’পাড়ে দুটি বাইপাস সড়ক। ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ইঞ্জিন চালিত ভ্যান, নছিমন, করিমন, মাহিন্দ্র, ট্রেগার সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। শতশত মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল চলাচল করে থাকে। কিন্তু ব্রীজে ওঠার দু’পাড়ে রাস্তার পাশ দিয়ে রোড গার্ড না থাকায় এবং ব্রীজের দু’পাড়ের বাইপাস সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা লেগেই আছে। যাত্রী বোঝাই পরিবহন ব্রীজের উপর উঠতে গিয়ে অনেক সময় উল্টে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। আবার কখনও রাস্তার উপর থেকে প্রায় ১৫/২০ হাত নিচে গাড়ী পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় গাড়ীগুলো প্রায় ৩/৪ রশি দুরে যাত্রীদের নামিয়ে খালি গাড়ী ব্রীজে ওঠে এবং যাত্রীরা পায়ে হেটে ব্রীজের উপর যেয়ে গাড়ীতে ওঠে। এক্ষেত্রে যাত্রীবাহী গাড়ীগুলো অপর পাড়ে পৌছে নামতে যেয়ে উল্টে যায়। এছাড়া ব্রীজের উঠতে রাস্তার পাশে নছিমন, করিম ও মটরসাইকেল যেনতেনভাবে রাখার কারণে চলন্ত পরিবহনগুলো ব্রীজের উপর উঠতে হিমশিম খেতে হয়। এ কারণেও দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় যাত্রী সাধারণের। ইতিপূর্বে ফনিন্দ্র নাথ (আমীন), ময়নুদ্দীন গাজী, ইট বোঝায় গাড়িতে উল্টে অজ্ঞাতনামা শিশুসহ মারা যায় কয়েকজন। পঙ্গুত্ববরণ করে অনেকে। তবুও ব্রীজ ও রাস্তা নিয়ে কাহারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। ব্রীজের দু’পাড়ের বাইপাস সড়কে বড় বড় গর্তে পরিণত হলেও সংস্কারের কোন গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যে কারণে ব্রীজটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এদিকে নদীতে পলী জমে ভরাট হওয়ার কারণে যেমনি খেয়া পারাপার বন্ধ হয়েছে, তেমনি জীবনের ঝুকি নিয়ে ব্রীজের ওপারের লাখো জনগণ জীবনের ঝুকি নিয়ে ব্রীজের উপর দিয়েই চলাচল অব্যাহত রেখেছে। যে কারণে দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত মানুষের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষসহ কারোর কোন খেয়াল নাই। ভূক্তভোগী জনগণ তাদের জীবনের ঝুকি কমানোর জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

Please follow and like us:

Check Also

তালায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জামায়াত

সাতক্ষীরার তালায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (২৩ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।