আইন শৃঙ্খলা উন্নতি, মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকা ছাড়া শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী‘র গতিশীল কর্মকান্ড

ক্রাইমবার্তা রিপোট:মোস্তফা কামাল- শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি, মাদক ব্যবসায়ীরা ও জুয়াড়িরা আত্মগোপন করেছে মর্মে সর্বত্রে আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর। 22সুন্দরবন ও ভারতীয় সীমানা শ্যামগরের শেষপ্রান্ত। ভারত থেকে মাদক দ্রব্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এখন তা শ্যামনগরের ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না। শ্যামনগরে বিভিন্ন সময় থেকে উঠতি বয়সী যুবকরা ফেন্সিডিল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, আফিম, হেরোইন প্রভৃতি নেশায় মেতে উঠছে, তখনই মাদক ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল। অথচ গত সপ্তাহে নবগত ওসি সৈয়দ মান্নান আলী শ্যামনগর থানায় যোগদানের পর থেকে মাদক ব্যবসায়ী, মাদক আসোক্ত ও জুয়াড়িরা আত্মগোপনে রয়েছে বলে ¯্রুতি রয়েছে। ফলে মাদক ব্যবসা ও জুয়া খেলা বন্ধ রয়েছে। কেহ এ ধরনের অপকর্ম করলেও তাৎক্ষনিক তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছে। তারা বর্তমান ওসির কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করছে। ভয়ানক নেশা দ্রব্যাদী নিয়ে ব্যবসা করতে পারা/না পারা নিয়ে। সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সাথে ওসি সৈয়দ মান্নান আলী বিভিন্ন মত বিনিময় সভায় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছিলেন- মাদক ও জঙ্গিবাদের নির্মূল করা হবে শ্যামনগরকে। শ্যামনগরে কোন মাদক ব্যবসায়ী বা সেবনকারী থাকবে না, শ্যামনগর উপজেলাকে দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম মাদক মুক্ত উপজেলা ঘোষনা করেতে সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয়। যার প্রতিফলন প্রমান করতে প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ী ধরা খাচ্ছে এবং জুয়াড়িরা আটক হচ্ছে। এ দিকে জুয়াড়িরাও জুয়া খেলা বন্ধ করে নীরব ভূমিকায় রয়েছে। বিভিন্ন মামলার আসামীরাও এলাকা ছেড়েছে। অপরাধীরা গা ঢাকা দিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সফল প্রধান মন্ত্রীর কার্যক্রম জনগণকে জানাতে সহজতর হচ্ছে। সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি ও শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা এসএম জগলুল হায়দার এর বলিষ্ট নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম সক্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে অথচ বিএনপি জামায়াত সহ অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিরব পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক বিএনপি জামায়াত নেতা কর্মীরা ওসি সৈয়দ মান্নান আলী কে ভয় পাচ্ছে। শ্যামনগর থানা পুলিশ প্রায় প্রত্যহ অপরাধীদের আটক করছে। গত কয়েক দিনে কয়েক ডজন আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শ্যামনগর থানায় কর্মরত সকল এসআই, এএসআই ও কনষ্টেবল সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালনে সদা তৎপর। থানার কোন ষ্টাফ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা আছে কিনা গোপন মনিটরিং করার প্রক্রিয়া থাকাটা স্বাভাবিক। সকল গতিবিধি তিনি মনিটরিং করছেন। মাদকের ব্যাপারে করোর সাথে আপোষ নয়, বরং মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রু মনে করেন নবাগত ওসি। জমিজমা, মৎস্যঘের সংক্রান্ত থানার উপর অর্পিত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনে সরকারি নীতি মালা মানা হচ্ছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশকে যথাযথ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সার্বক্ষনিক সরকারী দায়িত্ব পালনে তিনি যথেস্ট ভূমিকা রাখছেন। শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী থানায় যোগদানের পর থেকে শ্যামনগরে আইন শৃংখলা ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মাদক নির্মূল হতে চলেছে। জুয়াড়িরা খেলা বন্ধ করেছে। অপরাধীরা আত্মগোপন করেছে। বনদস্যুরা এলাকা ছেড়েছে, মামলা কমেছে, এলাকা ছেড়েছে এ ধরনের কথা সর্বদা বিভিন্ন হাট বাজার, অফিস, দোকান সহ সর্বত্রে আলোচনা চলছে। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী সরকারী দায়িত্ব পালনে এ ধারা অব্যহত থাকলে বাংলাদেশের মধ্যে অনুকরণীয় আদর্শ অফিসার হিসেবে খুব শীঘ্রই আত্ম প্রকাশ পাবে বলে শ্যামনগরে সকল স্তরের সুশীল সমাজ মনে করেন।

Check Also

আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।