অভিযোগ, সাঁটমুদ্রাক্ষরিকসহ ১৬টি পদের জন্য প্রায় দুই কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একটি শক্তিশালী চক্র তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে ২০০৪ সালের প্রার্থীদের বাদ দিয়ে লিখিত পরীক্ষা নিয়েছে। প্রতিটি পদের জন্য ১০-১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এ কারণে মামলার রায় প্রকাশের আগেই নিয়োগ দিয়ে সেই টাকা ‘হালাল’ করতে চায় ওই সিন্ডিকেট।
জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩১ মার্চ সাঁটমুদ্রাক্ষরিকের দুটি পদসহ কয়েকটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তি বাতিল না করে একই পদে ২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৪ সালে আবারও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিলেও ২০০৪ সালের আবেদনকারী কাউকে দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করেন ২০০৪ সালের আবেদনকারী আতিকুর রহমান সুজনসহ ১২ জন।
এ নিয়ে বাদীর আইনজীবী মো. রেজাউল করিম বুধবার ভূমি সচিবকে ‘ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশ’ পাঠিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম যুগান্তরকে বলেন, ২০০৪ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেনি ভূমি মন্ত্রণালয়। অথচ ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষায় ডাকা হয়নি। এটা অন্যায়। ‘ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশ’ দেয়া মানেই মামলার আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়া। অর্থাৎ বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আমরা আশা করছি, রোববার এ বিষয়ে আদালত রায় দেবেন। এখন মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা।
এ প্রসঙ্গে নিজ দফতরে নিয়োগ কমিটির প্রধান ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মজিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, নিয়োগ শতভাগ নিয়মনীতি মেনেই হচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের বাণিজ্য হচ্ছে না। আদালতে বিচারাধীন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার জানা নেই। রায়ের কোনো কাগজও তিনি পাননি। এ বিষয়ে ভূমি সচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ভূমি সচিব ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার জানান, তিনি মিটিংয়ে রয়েছেন। সন্ধ্যা ৭টার পর তিনি পুনরায় ফোন দিতে বলেন। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রতিবেদকের পরিচয় দিয়ে এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।