ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা। এক্ষেত্রে সারা দেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে সভা-সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জোটের সমন্বয়ক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় শুরু হয়ে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত চলে এ বৈঠক। বৈঠকের শুরুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে জোটের সমন্বয়কের নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়। সবার সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া আসন্ন পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জোটের অংশগ্রহণের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। এ সময় শরিক দলগুলোর মতামত নিয়ে আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের প্রতিনিধি দেখা করে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানিয়েছেন। এ ছাড়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী দিনের আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খান।
২০ দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আব্দুল হালিম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এমএ রকিব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লূৎফর রহমান, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ইসলামী পার্টির মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল কাশেম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপ-ভাষানীর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ পিপলস লীগের গরীব নেওয়াজ, লেবার পার্টি একাংশের ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান এবং অন্য অংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরী।