ভাট্টির মামলায় আগাম জামিন পেলেন ব্যারিস্টার মইনুল

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ   মানহানীর দুই মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ৫ মাসের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন। এর আগে রোববার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি। এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে মামলাটি আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানায় জারি করেন। একই সাথে এই মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ২২ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।

ব্যারিস্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে মাসুদা ভাট্টির মামলা
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন মিথিলা ফারজানা। এতে অতিথি ছিলেন মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। আলোচনায় স্টুডিওর বাইরে থেকে যুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

আলোচনার ফাঁকে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে যে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’

জামালপুরে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
জামালপুর সংবাদদাতা

নারী সাংবাদিককে কটূক্তির অভিযোগে জামালপুর আদালতে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়েছে। এ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ওই আদালত।

আজ রোববার দুপুরে জামালপুর সদর সিআর আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন জামালপুর জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটা। মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন সদর সিআর আমলী আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট সোলায়মান কবীর।

এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে ৭১ টেলিভিশনে ফারজানা রূপা উপস্থাপিত ‘৭১ এর জার্নাল’ নামক টকশোতে নারীনেত্রী, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। যা মানহানিকর, শিষ্টাচারবহির্ভূত, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত এবং সমগ্র নারী সম্প্রদায়ের প্রতি অবজ্ঞা ও মানহানিকর। এতে বাদী একজন নারী রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে চরমভাবে অপমানিত এবং মানহানিকর পরিস্থিতিতে নিপতিত হয়েছেন। বিবাদীর এরূপ মন্তব্য তথা আচরণ বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে শান্তিযোগ্য একটি অপরাধ।

মইনুলের বিরুদ্ধে ভাট্টির মামলা 

গণমাধ্যমে বিবৃতির মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করার পরও ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি। একইদিন জামালপুর সদর সিআর আমলী আদালতে একই অভিযোগে মামলা করেছেন জামালপুর জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটা।

রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মাসুদা ভাট্টি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী বাদীর জবানবন্দি শুনে এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘একাত্তর জার্নাল’-এ রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানা। এতে অতিথি ছিলেন মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। আলোচনায় স্টুডিওর বাইরে থেকে যুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

আলোচনার ফাঁকে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’

এ ঘটনায় মইনুলের বিরুদ্ধে বাদী দণ্ডবিধির ৫০০/৫০৬ ধারায়  রোববার এ মামলা দায়ের করেন। ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ নারী সাংবাদিককে কটূক্তির অভিযোগে করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন জামালপুরের একটি আদালত।

রোববার দুপুরে জামালপুরের আমলি আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটা।

পরে সেটি আমলে নিয়ে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোলায়মান কবির আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ করে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের এক মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে গত শনিবার বিবৃতি দেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫৫ সম্পাদক ও বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক।

এর আগে ১৮ অক্টোবর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার হুশিয়ারি দিয়ে নারী সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা দুটি দাবি তুলে ধরেন। তা হল- ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে তিনি এ রকম ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকবেন।

নারী সাংবাদিককে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ‘বয়কট’ করার জন্য নারীদের প্রতি আহ্বানও জানান মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

তবে এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মইনুল ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের প্যাডে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ওই মন্তব্যের জন্য তিনি টেলিফোনে মাসুদা ভাট্টির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তার পরও ‘মহলবিশেষ’ তার বিরুদ্ধে ‘অশালীন ভাষায়’ বক্তব্য দেয়ায় বিষয়টি ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করছেন। ‘মাসুদা ভাট্টি আমার রাজনৈতিক সত্তা ও সততা নিয়ে দারুণ আপত্তিকর ও অবমাননাকর বক্তব্য রেখেছেন। তাই আমিও তার সাংবাদিকতার নিরপেক্ষ চরিত্র নিয়ে মন্তব্য করেছি। তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি না, তাই তার ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলারও প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি আরও লেখেন, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি বলেছেন, লোকে আমাকে সেভাবে দেখে বলেই তিনি বলেছেন। কিন্তু ফেসবুকে মাসুদা ভাট্টির ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কে জঘন্য ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে আমি তো তার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করছি না।’ ‘অবাধ’ নির্বাচনের দাবিতে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ায় কিছু লোক ‘বেসামাল’ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন মইনুল।

Check Also

সাংবাদিককে কারাদণ্ড- ক্ষমতার অপব্যবহার কি না সেটা তদন্ত শেষে ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য চাওয়ায় শেরপুরের সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনা ক্ষমতার অপব্যবহার কি না …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।