ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে সরকারবিরোধী কর্মকর্তাদের গতিবিধির ওপর শ্যেনদৃষ্টি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিশেষ করে আগে থেকে যারা সরকারবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতা ও সক্রিয় কর্মী হিসেবে চিহ্নিত, তাদের গতিবিধি কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হবে।
একই সঙ্গে তাদের অনুসারীদের সার্বিক কর্মকাণ্ড মনিটরিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সরকারপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতাদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এসব মৌলিক সিদ্ধান্ত এবং বেশকিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের (নন-ক্যাডার) ১৫-২০ জন নেতা। নির্ভরযোগ্য সূত্র বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এদিকে বিএনপিপন্থী শীর্ষ পর্যায়ের চার কর্মচারী নেতাকে সম্প্রতি সচিবালয় থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তবে তাদের যেখানে বদলি করা হয়েছে, সেসব দফতর বুধবার পর্যন্ত তিনজনের যোগদানপত্র গ্রহণ করেনি। সর্বশেষে বৃহস্পতিবার ২ জনের যোগদানপত্র গ্রহণ করা হয়। একজনের বিষয়টি সন্ধ্যা পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, এসব কর্মচারী নেতা একসময় ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। সেখান থেকে পদোন্নতি পেয়ে একজন হয়েছেন সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বাকি ৩ জন বর্তমান সরকারের মেয়াদে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পান। বাকিরা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নেতা।
যারা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রকাশ্যে সরকারবিরোধী ভূমিকা রাখেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন চাকরিচ্যুত হলে পরবর্তী সময়ে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে তারা প্রত্যেকে চাকরি ফিরে পান।
এরপর থেকে তারা বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী (নন-ক্যাডার) নেতা হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তাদের কেউ কেউ নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকজন পিআরএলে (অবসরে) গেলেও এখন পর্যন্ত তারা সক্রিয়।
বৃহস্পতিবারের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, সরকারবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত কর্মচারী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা বিগত পাঁচ বছর একরকম নিজেদের আড়াল করে চললেও কয়েকদিন ধরে তারা সরব হওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠকসহ সরকারবিরোধী কর্মকর্তাদের সংগঠিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার পর তারা গর্ত থেকে স্বমূর্তিতে বেরিয়ে আসতে চান। তিনি মনে করেন, তারা সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করতে পারে। এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিতে চান না।
এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি তাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে বলে তারা মনে করেন। এজন্য পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বৈঠকটি হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলোয় আমরা কোনোভাবে সরকারবিরোধী কাউকে সমবেত হওয়ার সুযোগ দেব না।
সেজন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ দফতর-সংস্থায় সরকারপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতাদের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, সরকারি আবাসন কোয়ার্টারগুলোয়ও যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা সংগঠিত হতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সচিবালয়ে সরকারপন্থী কর্মকর্তাদের সুসংগঠিত ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব এবং বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব মো. খাইরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, স্বাধীনতার সপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুসংগঠিত রাখতে ২০০১ সাল থেকে আমরা সচিবালয় প্রশাসনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছি।
এজন্য নানা প্রয়োজনে মিটিং তো করতেই হয়। তিনি জানান, সপ্তাহে ২-৩ দিন সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে একটি রুটিন মিটিং অব্যাহত আছে।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমবেশি সব জায়গায় থাকতে পারে। এ থেকে প্রশাসনের এই কেন্দ্রবিন্দুও বাদ থাকার কথা নয়। তাই আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করছি।
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মহাসচিব এবং সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতির মহাসচিব মো. রুহুল আমিন যুগান্তরকে বলেন, সবসময় আমরা চেষ্টা করি যাতে স্বাধীনতাবিরোধী এবং ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেসব দল ও পক্ষ জড়িত, তাদের অনুসারীরা সচিবালয়ে সংগঠিত হতে না পারে।
কিন্তু আমরা শুনছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার পর তারা সদলবলে সংগঠিত হবে এবং এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। সেজন্য আমরা সবসময় সতর্ক ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি দফতরে একধরনের অলিখিত কমিটি করে দিয়েছি, যারা সরকারবিরোধীদের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করবে।
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে সরকারবিরোধী কর্মকর্তাদের গতিবিধির ওপর শ্যেনদৃষ্টি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিশেষ করে আগে থেকে যারা সরকারবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতা ও সক্রিয় কর্মী হিসেবে চিহ্নিত, তাদের গতিবিধি কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হবে।
একই সঙ্গে তাদের অনুসারীদের সার্বিক কর্মকাণ্ড মনিটরিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সরকারপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতাদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এসব মৌলিক সিদ্ধান্ত এবং বেশকিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের (নন-ক্যাডার) ১৫-২০ জন নেতা। নির্ভরযোগ্য সূত্র বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এদিকে বিএনপিপন্থী শীর্ষ পর্যায়ের চার কর্মচারী নেতাকে সম্প্রতি সচিবালয় থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তবে তাদের যেখানে বদলি করা হয়েছে, সেসব দফতর বুধবার পর্যন্ত তিনজনের যোগদানপত্র গ্রহণ করেনি। সর্বশেষে বৃহস্পতিবার ২ জনের যোগদানপত্র গ্রহণ করা হয়। একজনের বিষয়টি সন্ধ্যা পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, এসব কর্মচারী নেতা একসময় ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। সেখান থেকে পদোন্নতি পেয়ে একজন হয়েছেন সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বাকি ৩ জন বর্তমান সরকারের মেয়াদে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পান। বাকিরা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নেতা।
যারা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রকাশ্যে সরকারবিরোধী ভূমিকা রাখেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন চাকরিচ্যুত হলে পরবর্তী সময়ে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে তারা প্রত্যেকে চাকরি ফিরে পান।
এরপর থেকে তারা বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী (নন-ক্যাডার) নেতা হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তাদের কেউ কেউ নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকজন পিআরএলে (অবসরে) গেলেও এখন পর্যন্ত তারা সক্রিয়।
বৃহস্পতিবারের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সরকারবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত কর্মচারী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা বিগত পাঁচ বছর একরকম নিজেদের আড়াল করে চললেও কয়েকদিন ধরে তারা সরব হওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠকসহ সরকারবিরোধী কর্মকর্তাদের সংগঠিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার পর তারা গর্ত থেকে স্বমূর্তিতে বেরিয়ে আসতে চান। তিনি মনে করেন, তারা সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করতে পারে। এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিতে চান না।
এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি তাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে বলে তারা মনে করেন। এজন্য পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বৈঠকটি হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলোয় আমরা কোনোভাবে সরকারবিরোধী কাউকে সমবেত হওয়ার সুযোগ দেব না।
সেজন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ দফতর-সংস্থায় সরকারপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতাদের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, সরকারি আবাসন কোয়ার্টারগুলোয়ও যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা সংগঠিত হতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সচিবালয়ে সরকারপন্থী কর্মকর্তাদের সুসংগঠিত ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব এবং বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব মো. খাইরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, স্বাধীনতার সপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুসংগঠিত রাখতে ২০০১ সাল থেকে আমরা সচিবালয় প্রশাসনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছি।
এজন্য নানা প্রয়োজনে মিটিং তো করতেই হয়। তিনি জানান, সপ্তাহে ২-৩ দিন সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে একটি রুটিন মিটিং অব্যাহত আছে।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমবেশি সব জায়গায় থাকতে পারে। এ থেকে প্রশাসনের এই কেন্দ্রবিন্দুও বাদ থাকার কথা নয়। তাই আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করছি।
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মহাসচিব এবং সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতির মহাসচিব মো. রুহুল আমিন যুগান্তরকে বলেন, সবসময় আমরা চেষ্টা করি যাতে স্বাধীনতাবিরোধী এবং ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেসব দল ও পক্ষ জড়িত, তাদের অনুসারীরা সচিবালয়ে সংগঠিত হতে না পারে।
কিন্তু আমরা শুনছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার পর তারা সদলবলে সংগঠিত হবে এবং এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। সেজন্য আমরা সবসময় সতর্ক ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি দফতরে একধরনের অলিখিত কমিটি করে দিয়েছি, যারা সরকারবিরোধীদের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করবে।যুগান্তর