১৪ এপ্রিল ওই শিশুর মা–বাবার করোনা শনাক্ত হয়। নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন ওই দম্পতি। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এলাকায় ফিরে আসেন তাঁরা। কয়েক দিন পর দুজনই জ্বর অনুভব করেন। এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে সদর উপজেলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতিনিধিদল তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে। দুই দিন পর কোলের সন্তানের জ্বর ও কাশি হলে শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তার রিপোর্ট পজিটিভ হয়।
জেলা সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুস বলেন, স্বামী-স্ত্রী ও শিশুটিকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর রাখছেন, পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রথম আক্রান্ত সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান সিভিল সার্জন। তিনি আরও বলেন, আজ পর্যন্ত জেলায় ২৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০০টি নমুনার রিপোর্ট এসেছে। ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিতে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু করা হচ্ছে করোনা ইউনিট। নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর মেশিন বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ শিবেশ সরকার।