ক্রাইমর্বাতা রিপোট: নানা জল্পনা, গুজব, কানকথার পর অবশেষে ‘জনসমক্ষে এসেছেন’ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলেছে, প্রায় তিন সপ্তাহ পর তিনি একটি সার কারখানায় প্রতিযোগিতায় উপস্থিত হয়েছিলেন। আজ শনিবার খুব সকালে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) রিপোর্ট করেছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সানচেওন-এ একটি সার কারখানায় একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। এ সময় তার পাশে ছিলেন বহুল আলোচিত তার ছোটবোন কিম ইয়ো জং। কেসিএনএ বলেছে, শুক্রবারের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কিম জং উন ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় সেখানে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা ‘বজ্রনিনাদে হুররে ধ্বনিতে ফেটে পড়েন’। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, কিম জং উনের ওই সময়কার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ পেয়েছে।
তাতে তাকে হাস্যোজ¦ল দেখা যাচ্ছে। সহযোগীসহ ওই প্লান্ট সফরে গিয়েছিলেন তিনি। তাদের সঙ্গে তাকে এ সময় কথা বলতে দেখা যায়। সরকারি পত্রিকা রোডং সিনমুন-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এসব ছবির যথার্থতা যাচাই করা যায় নি বলে জানাচ্ছে আল জাজিরা। কেসিএনএ’র রিপোর্ট সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এখনও আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করবো না।
গত ১৫ই এপ্রিল ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও কিম জং উনের দাদা কিম ইল সাং-এর জন্মদিন। এদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় ছুটি হিসেবে পালন করা হয়। আয়োজন করা হয় বড় অনুষ্ঠান। তাতে ক্ষমতাসীন নেতার উপস্থিতি একরকম বাধ্যতামূলক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু ২০১১ সালে দেশের ক্ষমতায় আসার পর এবারই প্রথম ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন নি কিম জং উন। কেন তিনি যোগ দেন নি সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো পর্যায় থেকে, কোনো সূত্র থেকে কিছুই বলা হয় নি। তারপর থেকে প্রকাশ্যে তাকে আর দেখা যায় নি। ফলে স্বাভাবিক কারণেই তিনি কোথায়, বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন- তা নিয়ে তীব্র কৌতুহল সারা বিশ্বে। এরই মধ্যে অনির্ভরশীল সূত্রগুলো প্রকাশ করে যে, তিনি মারা গেছেন। কেউ কেউ বলেন, তার হার্টের অপারেশন করা হয়েছে। এরপর তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে চীন। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত দৃশ্যত এক অন্ধকারের মধ্যে আছেন বিশ^বাসী। কিন্তু কেসিএনএ’র আজকের ওই রিপোর্ট বাদে আর কোনো তথ্যই প্রকাশ করা হয় নি। এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি পর্যায় থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, কিম জং উন জীবিত আছেন এবং ভাল আছেন। ওদিকে স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবিতে কিমের ব্যবহৃত একটি স্পেশাল ট্রেন এবং একটি বোটের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তাতে ধারণা করা হয়, তিনি অবকাশ যাপনের শহর ওনসানে অবস্থান করছেন। কিন্তু এটা শুধু ধারণাই। এর পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।