- কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ায় সম্পত্তির লোভে মাকে হত্যা করে বস্তাবন্দী লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছেন ছেলে। এ ঘটনায় ওই ছেলে থানায় গিয়ে মাকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে থানায় জিডি করেন। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩৪ দিন পর ওই লাশ উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ছেলে মুন্না বাবুসহ (৩২) মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় প্রেস বিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম, পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, মমতাজ বেগমের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একমাত্র ছেলে মুন্না বাবুর সাথে থাকতেন। মা যাতে মেয়েদের সম্পত্তির ভাগ দিতে না পারেন সেই জন্য বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে নিয়ে মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুন্না। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারি মমতাজকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে পুকুরে ফেলে দেয় তারা।
তিনি আরো জানান, পরে ২১ জানুয়ারি ছেলে মুন্না বাবু মিরপুর থানায় তার মাকে কে-বা কারা অপহরণ করেছে মর্মে জিডি করেন। এ ছাড়াও মুন্না তার বন্ধু রাব্বিকে অপহরণকারী সাজিয়ে তার (মুন্না) দুলাভাইয়ের কাছে ফোন করিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
জেলা পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত জানান, জিডি ও ফোন কলের সূত্র ধরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। ঘটনার ৩৪ দিন পর মঙ্গলবার মমতাজের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ছেলে মুন্না, তার বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।