তিন জেলায় ৩ জনের প্রাণহানি ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত ২৭ উপজেলা

স্টাফ রিপোর্টার : ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাতব শুরু করার পর শক্তি কমে ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ইয়াস এখন ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের’ রূপ নিয়েছে। ইয়াসের প্রভাবে উড়িষ্যা উপকূলে প্রবল বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের সঙ্গে সাগর ফুলে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর লিখেছে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শক্তি কমে এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ ঝড়ের উপকূল অতিক্রম করার পর্যায় শুরু হয় বুধবার তবে আঘাত হানার পর ইয়াসের শক্তি কমে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে জোয়ারের পানি ওঠে অনেক বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি সারাদেশে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ফেনীর সোনাগাজী ও বরগুনার বামনায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে ডুবে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে ভোলার লালমোহনে গাছ চাপায় এক রিকশা চালক প্রাণ হারিয়েছেন।
জানা গেছে ভোলার লালমোহন ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গাছ চাপা পড়ে আবু তাহের নামের এক রিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালমা ইউনিয়নের মৃধার চৌমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আবু তাহের, স্থানীয় গফুর পাটোয়ারীর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, রাতে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান। এসময় প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে বাগানের একটি রেইনট্রি গাছের ডাল ভেঙে তার গায়ে পড়লে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
বরগুনার বামনা মঙ্গলবার রাতে বরগুনার বামনায় মাছ শিকার করতে গিয়ে নান্না জোমাদ্দার (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ডৌয়াতলা গ্রামের মতি জোমাদ্দারের পুত্র। পারিবারিক সূত্র জানায়, নান্না মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশের হোতাখালে মাছ শিকার করতে গেলে হঠাৎ খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেন।
এদিকে  ফেনীর সোনাগাজীতে মঙ্গলবার মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে ডুবে হাদিউজ্জামান নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের শেখপাড়া গ্রামে। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছোট ফেনী নদীর বাইরের চরে ১০ থেকে ১২ জন জেলে মাছের পোনা ধরতে যায়। অন্যদিনের থেকে ৪-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে অন্যরা বাঁচতে পারলেও হাদিউজ্জামান নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাব থেকে বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। তবে ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় ৯ জেলার ২৭ উপজেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সার্বিক ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্যামনগর, আশাশুনি, কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, শরণখোলা, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, মঠবাড়িয়া, বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, পটুয়াখালী সদর, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, চরফ্যাশন, মনপুরা, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর, হাতিয়া, রামগতি ও কমলনগর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনকূলে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী ও অর্থ বরাদ্দ দেয়া আছে। এছাড়াও আজ ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় ৯টি জেলার ২৭টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে ১৬ হজার ৫০০ শুকনা ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রথমেই শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহর কাছে। একটি বড় বিপদ থেকে বাংলাদেশ বেঁচে গেছে। সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি বাংলাদেশে আসার কোনো সুযোগ নেই, এটা নিশ্চিত। আমাদের একটি সতর্ক সংকেত (৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত) দেয়া আছে, সেটি আমরা উপযুক্ত সময়ে তুলে নেব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলীয় জেলা, উপজেলাসমূহে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য আদান-প্রদানে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি (জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র) ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদানে সার্বক্ষণিক কাজ করেছে।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আনসার ভিডিপির স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। ঝড় আঘাত হানলে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত ছিল। মানবিক সহায়তার যথেষ্ট সংস্থান আগে থেকেই করা ছিল। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার জন্য যথেষ্ট মাস্ক এবং স্বাস্থ্য উপকরণ নিশ্চিত করা হয়েছিল।’
ঘূর্ণিঝড় হলেই বাঁধ ভেঙে যায়। এ বিষয়ে কী কোনো স্থায়ী সমাধান নেই- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি অনেকগুলো জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে। সেগুলো পুনর্র্নিমাণের কাজ চলছে। বাঁধগুলো অনেক পুরোনো। এ জন্য ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় টেকসই বাঁধ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটার জন্য ৩৭ বিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে সব উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কিছু ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রস্তুত করা হয়েছে। আরেকটা সভা করে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন করা হবে। মাঠের কাজ শেষ হলে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেটা করব।’
উপকূলীয় ১৪ জেলার অবস্থা– সর্বশেষ জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে উপকূলীয় ১৪টি জেলার অবস্থাও তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
পটুয়াখালী: জোয়ারের পানি বেড়েছে; তবে বিপৎসীমার নিচে আছে। গতকাল সন্ধ্যায় ১৭২টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১৪ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছিল। আজ সকালে তারা ফিরে গেছে। এসব লোক জোয়ারের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে আসে এবং ভাটার সময় নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। সামান্য ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা : বর্তমানে আবহাওয়া স্বাভাবিক। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট বেশি রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। জেলায় এক হাজার ২৯২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। গত রাতে শ্যমনগর উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ২৮০ জন আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। বর্তমানে তারা নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছে।
বরগুনা : বর্তমানে আকাশ মেঘলা রয়েছে এবং জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দু-তিন ফুট বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের কয়েক জায়গায় কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ৫২০ জন আশ্রয় নিয়েছিল, পরে তারা নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। সামান্য ঝড়ো বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ঝালকাঠি: জেলায় মোট ৪৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। ৪৯৭ জন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা বিপৎসীমার ওপর রয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
পিরোজপুর : মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝের চর বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় ১০-১২টি মাছের ঘের এবং কয়েক একর সবজিবাগান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মাঝেরচর আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫০ জন আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা থেকে শুকনা খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিক অবস্থা থেকে তিন ফুট উপরে উঠেছে। ২৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
বরিশাল: আবহাওয়া স্বাভাবিক। এক হাজার ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। কোনো লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভোলা : জেলায় ঝড়ো হাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া স্বাভাবিক। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উপরে উঠেছিল। কিন্তু বর্তমানে নেমে গেছে। দুর্গমচরে প্রায় ২৫০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং জোয়ারের পানিতে ৯০০ গরু/মহিষ ভেসে গেছে। ৬৯১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছিল, তবে বর্তমানে এসব লোকজন নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে যাচ্ছে। গাছ চাপা পড়ে লালমোহন উপজেলায় একজন লোক মারা গেছে।
বাগেরহাট : জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা উপজেলার ২০/২১টি গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে ২ হাজার ৭০০ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা হিসেবে শুকনা খাবার (চিড়া, গুড় ও খাবার স্যালাইন) সরবাহের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সকাল থেকে রোদ ছিল। বর্তমানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক।
চাঁদপুর: জেলা প্রশাসন পরিস্থিতির প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। ছিন্নমূল মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যে উপজেলাওয়ারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পানির উচ্চতা স্বাভাবিক। সামান্য ঝড়ো হাওয়া বইছে।
লক্ষীপুর: জেলার রামগতি, কমলগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় সামান্য জোয়ারের পানি উঠেছে। কিছু রাস্তাঘাট, ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো লোক আশ্রয় গ্রহণ করেনি। সামান্য ঝড়/বৃষ্টি রয়েছে।
খুলনা: জেলায় মোট এক হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে কোনো লোক আশ্রয় গ্রহণ করেনি। ঝড়ো হাওয়া আছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিক আছে।
ফেনী: আবহাওয়া স্বাভাবিক, কোনো সমস্যা নাই। জোয়ার পানি স্বাভাবিক। ঝোড়ো হাওয়া নেই। গতকাল ট্রলারে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবে একজন মারা গেছে। ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, কিন্তু কোনো লোক আশ্রয় গ্রহণ করেনি।
চট্টগ্রাম: জোয়ারের পানি বাড়ছে। বর্তমানে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবহিত হচ্ছে। জেলার মোট ৮৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কোনো লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি। ক্ষয়ক্ষতির কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালী: জেলায় মোট ৩৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ৩০০ জন আশ্রয় নিয়েছিল। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ফুট উপরে উঠেছিল। জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।