মেঘ-রোদ্রের লুকোচুরির ভিড়ে
সুপারি গাছের সারি বেয়ে-
সূর্য নামে তীরে।
ভাটি নায়ের মাঝির বাঁশির সুরে,
উদাসী মনে সান্ধ্য ছায়া দেখি ফিরে ফিরে।
নদীর বুকে মায়াবী হাসি জলের ধারা তোলে,
চাঁদের মতো ভাতের থালা-
উপচে পড়ে ঝোলে।
শ্রাবণ রাতে মাঠ ভরেছে শাপলা শালুক ফুলে
মাচায় দারুণ ঝুলছে দেখি বরবটি-ধুন্দলে।
বিরাণ ভিটে ভরে উঠে জোনাকীর আলোতে,
চাঁদের আলো ঝাঁপসা নামে-
মেঘের ভেলাতে।
অশত্থের ডালে ডাকছে বক বৃষ্টি ভেজা স্বরে,
তালের বড়া করে মায়ে ডাকছে রান্না ঘরে।
আমার মায়ের শ্যামলা বদন অপরূপ সুন্দর
শিশুর মুখে বেজায় ভারি-
ছড়া-গান মন্থর।
বাংলার রূপ, গন্ধ-ঘাস, নক্ষত্র ভরা আকাশ
প্রকৃতি প্রেমী খুঁজে ফিরে লাল-সবুজ বারোমাস।
কৈ-শিং মাছ উঠতো হেঁটে জলের ধরা বেয়ে
রাতের সাঁঝে রাঁধতো মায়ে-
পুঁইশাক পুঁটি দিয়ে।
কাঁদামাটি মেখে খেলেছি বল, সাঁতরে গেছি নদী
বিজয়ী বেশে ফিরেছি গায়ে দেখতে চেয়ে যদি।
সোনা আছে মাঠে, কৃষকের হাতে-
সবুজ শ্যামল মিশে
এসো এসো ভাই, দেখবে তারে-
আমার বাংলাদেশে।