উপজেলা প্রতিনিধি (অভয়নগর) যশোর:
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা, তার উপর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন লাগাতার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। তাপমাত্রার এই তারতম্যে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় বেড়েছে জ্বর সর্দি কাশি সহ ঠান্ডাজনীত রোগ। কখনো গরম-কখনো ঠান্ডার যে ধকল তা সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের শরীর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এসব মৌসুমী জ্বর বাড়ছে বলে মনে করছেন অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মুক্তাদিরুল হক শুভ। তবে এসব জ্বর সর্দি কাশিকে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে বিবেচনা না করে পরীক্ষা নিরিক্ষার তাগিদ চিকিৎসকদের।
যেহেতু করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিদ্যমান সেহেতু দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসাসেবা নেওয়াটা জরুরী। জানা যায় অভয়নগরের কোটা গ্রামের বাসিন্দা বজলুর রহমান বিশ্বাস সহ তার পরিবারের ৪ জন সদস্য গত কয়েকদিন যাবত জ্বরে আক্রান্ত। বাঘুটিয়ার হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের বাড়ি সহ আশেপাশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে জ্বরে আক্রান্ত রোগী।
শ্রীধরপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের বুলবুল ইসলাম বললেন, জ্বরে প্রচন্ড দুর্বল করে ফেলছে শরীর, মুখের রুচি থাকছে না। পাথালিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভি আব্দুল গণি বলেন, জ্বর নেই তবে খাবারের খিদে বোধ করছি প্রচন্ড কিন্তু মুখে দিলে ভালো বোধ করছি না।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আলিমুর রাজিব বলেন, বর্তমান যে জ্বর সর্দি কাশি হচ্ছে তা আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য হচ্ছে। তবে এসব জ্বর করোনা ভাইরাসের লক্ষণ কিনা তা পরিক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ২৪ জনের মধ্যে মাত্র ২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
তবে অভয়নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্বর-সর্দি-কাশির রুগী আসছে হাসপাতালে। তাদেরকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি। প্রয়োজন অনুযায়ী ভর্তি হয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন কেউ কেউ।