জামালপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ঘটনাস্থল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আটক করা হয়েছে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে। শনিবার সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, শান্তি সমাবেশের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কামালখান মোড়ে জড়ো হলে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করে। হামলায় তিতপল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দৌলতুজ্জামান আনসারী ও পুলিশের কনস্টেবল মুক্তার আলীসহ কয়েকজন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ৩৪টি ফাঁকা গুলি এবং ছয়টি কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তিতপল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন অভিযোগ করেন, পদযাত্রা কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় তিতপল্লার কামাখান মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
হামলায় বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন, শরিফ উদ্দিন আকন্দ, আকবর আলী, চান মিয়া, সোহেল তানভীরসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করছে। তার দাবি ঘোড়াধাপ, দিগপাইত ও বাঁশচড়া ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে অন্তত ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কোনো নেতাকর্মী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেনি। বরং তারাই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এটা জামায়াত-বিএনপির পুরাতন চরিত্র।