অবাধ-নিরপেক্ষ নয়, নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনেই সরকারের ভরসা

ক্রাইমবার্তা রিপোট:: ক্ষমতাসীন সরকার শেষ পর্যন্ত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নয়, একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের উপরেই ভরসা করলো। খুলনা সিটির নির্বাচনে এটি ছিলো এসংক্রান্ত ‘প্ল্যান সি’র প্রথম পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় ‘খুলনা মডেল’ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। বহুল বিতর্কিত হওয়া সত্ত্বেও এই নির্বাচনকে খোদ নির্বাচন কমিশন ও সরকারি মহল থেকে জোরেশোরে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের দৈনিক সংগ্রামে ‘দন্ত-নখরবিহীন প্রতিপক্ষের সন্ধানে ক্ষমতাসীন জোট!’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনে সরকারের সেই ‘প্ল্যান সি’ বিষয়ে ধারণার কথা উল্লেখ করা হয়। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দীন সরকারের হাত ধরে তারা চার দলীয় (পরে ২০ দলীয়) জোটকে ক্ষমতার বাইরে রাখার কৌশলে সফল হয়। সেটিকে বলা যেতে পারে ‘প্ল্যান এ’ বাস্তবায়ন। দ্বিতীয় দফায় ছিলো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন। একটি জননন্দিত ও বিপুলভাবে জনসমর্থিত ‘কেয়ারটেকার সরকার’ ব্যবস্থাকে সংবিধান থেকে উচ্ছেদ করে দিয়ে ‘প্ল্যান বি’ বাস্তবায়ন শুরু হয়। এর মাধ্যমে তারা বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধীজোটকে নির্বাচনের বাইরে রেখে একতরফা ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মহড়া দেয়। এই নির্বাচনের পর থেকে শুরু হয় প্রতিপক্ষ দমনের এবং নির্মূলের যতোসব নির্মম পদ্ধতির বাস্তবায়ন। সামনে ২০১৯-এর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো ক্ষমতা হাতে পেতে শুরু হয়েছে ‘প্ল্যান-সি’-এর মহড়া। এ পর্যায়ে ক্ষমতাসীনদের প্রধান লক্ষ্য, দন্ত-নখরবিহীন একটি প্রতিপক্ষ তৈরি করা। যাদের সঙ্গে লড়াই হবে একতরফা ও অসম। এর ফলে ভেতর থেকে তা অন্তসারশূন্য হলেও দৃশ্যত নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করা যাবে। ভাষ্যকাররা বলছেন, এবারের পরিকল্পনা-কৌশলের অংশ হিসেবে একদিকে বিরোধীজোটের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক চাপের মধ্যে রাখা হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কারাবন্দী রেখে তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলা হবে। নেতা-কর্মীদেরকেও অবিরাম থানা-হাজত-আদালত-জামিনের চক্করে কাটাতে হবে। অন্যদিকে তাদের সভা-সমাবেশগুলো ইতোমধ্যে অত্যন্ত সীমিত ও সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তাদেরকে কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুযোগই দেয়া হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় যতো ঘনিয়ে আসবে ততই এই দমন-পীড়নমূলক তৎপরতা জোরদার হবে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। সাম্প্রতিক খুলনা সিটির নির্বাচনে এই প্রক্রিয়া সফলভাবে প্রয়োগ করা হয় বলে ভাষ্যকাররা উল্লেখ করেন।
খুলনা মডেল-এর অভিজ্ঞতা : গত ১৫ মে ২০১৮ তারিখে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনকে সরকার একটা নতুন মডেলে নিয়ে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করে। কেননা এটি ছিলো বিরোধী বিএনপি’র কব্জায়। বিশ্লেষকদের মতে, খুলনার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার তার নয়া প্ল্যানের পরীক্ষা চালায় এবং তাতে সফল হয়ে এই সিটি কর্পোরেশনটি নিজেদের কব্জায় নিতে সক্ষম হয়। নির্বাচনের পর বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থেকে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল এই শহরের মানুষের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা না বাধিয়ে কেবল সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে ভোট নেয়ার এমন দৃশ্য এই শহরের মানুষ আগে দেখেনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তার একটা মহড়া হয়ে গেছে এই নির্বাচনে। এই নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সব ব্যবস্থাই ছিল- পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ম্যাজিস্ট্রেট ও টহল। এর মধ্যেই যাকিছু ঘটে তার তালিকা করলে নি¤œরূপ দাঁড়ায় :
১. এই নির্বাচনে সরকারি মহলের অন্যতম কৌশল ছিলো, বিএনপি নেতাকর্মীদের কেন্দ্রমুখী হতে না দেয়া। ভোটার উপস্থিতি যথাসম্ভব কম রাখা হয় এবং পুরো সিটিতে অনিয়ম না করে সুনির্দিষ্ট কিছু কেন্দ্র বেছে নেয়া হয়। বিএনপির ভোট ব্যাংককে টার্গেট করা হয়। যেসব কেন্দ্রে বিএনপির ভোট অনেক বেশি সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্য কাউকে দাঁড়াতে দেয়নি।
২. রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকদের পুলিশ দিয়ে মাঠছাড়া করা হয়। ভোটের আগে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতারে পুলিশের অঘোষিত অভিযান চালানো হয়। নগরীতে প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে টানা গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে নির্বাচনের মাঠ অসমতল করে ফেলা হয়। এরফলে বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পুলিশের গ্রেফতার অভিযান শুরুর পর কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে প্রচারাভিযান আর এগিয়ে যেতে পারেনি। এর প্রতিকারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কিছুই করেনি। ইসি নিষ্ক্রিয় থাকায় শেষ পর্যন্ত বিএনপিকে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হতে হয়।
৩. দল বেঁধে বুথে ঢুকে ব্যালটে সিল মারা হয় এবং জাল ভোট দেয়া হয়। বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকারি দলের কর্মীরা ঢুকে ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। স্বল্প সময়ে এভাবে কিছু ভোট দিয়ে তারা সটকে পড়ে এবং সুযোগ বুঝে আবার ফিরে আসে। তারা ফিরে যাওয়ার পরপর শৃঙ্খলা রক্ষার নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় হয়। ততক্ষণে সাধারণ ভোটার আতঙ্কিত হয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
৪. সরকারদলীয় প্রার্থীর প্রতিপক্ষের এজেন্টদেরকে বুথ থেকে বের করে দেয়া হয়। সরকারি দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের আগের রাতে এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসায় নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ে। প্রায় সব কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জটলা করে তাঁরা কার্যত কেন্দ্রের প্রবেশমুখ নিয়ন্ত্রণ করে। ভোটার বা পর্যবেক্ষক যে-ই আসুন, তাঁরা নজরদারি করেন। অনেক কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টরা সেখানে প্রথম বাধা পান। অনেকে শারীরিকভাবে আঘাত বা অপমান-অপদস্থ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান। গণমাধ্যমের কর্মীরা কেন্দ্রে পৌঁছার আগেই, অর্থাৎ সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর কিছু সময় আগেই এক দফা এ ঘটনাগুলো ঘটে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা ধানের শীষের ব্যাজ পরে বিএনপির প্রার্থীর এজেন্ট সেজে নৌকার ভোট পাহারা দেয়ার মহড়াও চলে।
৫. কোন কোন কেন্দ্রে ভোটারদের প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারতে বাধ্য করা হয়। বাবার সঙ্গে শিশুর ভোট দেয়ার মতো অস্বাভাবিক ঘটনাও ঘটে। সবচেয়ে কমন ডায়ালগ ছিলো, ‘আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে, বাড়ি চলে যান।’ অনেকে ভোট দিতে এসে হতাশ হয়ে কেন্দ্র থেকে ফেরত যান। সিল মারা ব্যালট বিভিন্ন কেন্দ্রে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। যা পরে সংবাদকর্মীরা ক্যামেরায় ধারণ করেন। কেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘ লাইন, অথচ ভেতরে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। দুপুরের আগেই ব্যালট শেষ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। জাল ভোটের রীতিমতো উৎসব চলে। কেউ বাধা দেয়া দূরে থাক- আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহায়ক ভূমিকায় থাকার অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
৬. ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকেরা গাড়ি ও মোটরসাইকেলে নৌকা প্রতীকের স্টিকার লাগিয়ে অবাধে চলাচল করেন। জাল ভোট দিতে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম পরিচয় জেনে নিয়ে ভোট শেষ হলে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেয়া হয়। পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। কোথাও কোথাও ছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীদের সহযোগীর ভূমিকায়।
৭. এক ধরণের ভীতিকর পরিস্থিতিতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাদের সামনে ভয় ছিলো দুর্বৃত্তদের গুন্ডামি এবং অন্যদিকে চাকরি রক্ষা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুমকি। কোন কোন কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরিহিত ভোটার ছাড়া অন্য কোনো ভোটারকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। গায়ে নৌকা প্রতীকের ব্যাজ লাগানো থাকলে তাদের জন্য সর্বত্র অবাধ চলাচলের সুযোগ রাখা হয়। কোথাও কোথাও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও ব্যর্থ হন।
৮. ভোটকেন্দ্রগুলো কার্যত নৌকার কর্মীদের টহল এবং নিয়ন্ত্রণে ছিল। দলবেঁধে ঢুকে ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে ভোট কাটার ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে কোনো দাঙ্গা হাঙামা না বাঁধিয়ে সুকৌশলে কাজ সম্পন্ন করা হয়।
৯. ব্যালট বাক্স থেকে ব্যালট বের করে গণনার সময় দেখা যায়, কিছু ব্যালটের পেছনে সিল এবং স্বাক্ষর আছে। কিছু ব্যালটের পেছনে সিলমোহর আছে কিন্তু স্বাক্ষর নেই। আবার কিছুতে সিল-স্বাক্ষর কিছুই নেই। একটি কেন্দ্রে দেখা যায়, নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোট গণনার এক পর্যায়ে স্বাক্ষরবিহীন একটি ব্যালট প্রিজাইডিং অফিসারকে দেখালে তিনি তা অবৈধ ঘোষণা করেন। পরক্ষণেই একইরকম একগাদা ব্যালট তার হাতে দেয়া হলে তিনি অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। এর সবগুলো ব্যালটই ছিল নৌকা মার্কায় দেয়া ভোট। পরে ভোটকেন্দ্রে অবস্থানরত পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যালটে স্বাক্ষরবিহীন ভোট ‘বৈধ’ হিসেবে গণনার নির্দেশ দেন। এরপর আর ব্যালটে স্বাক্ষর আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হয়নি। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আইনত এসব ভোট বাতিল হওয়ার কথা। কিন্তু স্বাক্ষরবিহীন সব ব্যালটকে বৈধ ধরে নিয়েই গণনা হয়েছে।
১০. একজন ভোটারের তিনটি করে ভোট দেয়ার কথা এবং তিনটি ভোটই সমান থাকার বিধান রয়েছে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, মেয়র পদে ভোট প্রদানের হার ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ, কাউন্সিলর পদে ৬৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে এই হার ৬১ দশমিক ৯২ শতাংশ। মেয়র পদে গণনা হওয়া মোট ভোটের চেয়ে ২২ হাজার ৪৫৫টি বেশি। এ ক্ষেত্রে ভোট প্রদানের হার ৬৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বহুসংখ্যক কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট পড়ার ঘটনা ঘটে। খুলনার এই নির্বাচনে ভোটের গড় হার ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ। কয়েকটি কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। কয়েকটিতে পড়ে ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট। ছয়টি কেন্দ্রে ৮০ শতাংশের বেশি, ১২টি কেন্দ্রে ৭৫ শতাংশের বেশি এবং ৩০টি কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে।
প্রশ্নবিদ্ধ কতিপয় বিষয় : মোটা দাগে এই নির্বাচনের যে সব প্রশ্নবিদ্ধ বিষয় এই নির্বাচনে ধরা পড়ে তার মধ্যে রয়েছে, প্রতি পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে একটিতে ভোটের হার ছিলো ‘অস্বাভাবিক’। ১০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো ভোটের এই অস্বাভাবিকতা মোটেও উপেক্ষার ব্যাপার নয়। আগে থেকে সিলমারা ব্যালটের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি কেন্দ্রের কর্মকর্তা। ব্যালট বইয়ের মুড়িতে কোনো সই বা আঙুলের ছাপ না থাকা সত্ত্বেও বাক্সে সেই ব্যালট ঢোকানো হয়, যার কোন প্রতিকার হয়নি। ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা গিয়ে জানতে পারেন তাদের ভোট দেয়া হয়ে গেছে- যা জাল ভোটের প্রমাণ দেয়। সকালে ভোটারের চাপ না থাকলেও অনেক কেন্দ্রে দুপুরের আগেই অর্ধেকের বেশি ভোট সম্পন্ন হওয়ার কোন বাখ্যা কেউ দেয়নি। হানাহানি ছাড়াই গায়েবি ভোটের নয়া মডেল চালু করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ‘ভোট ডাকাতি’র একটা নতুন সংস্করণ চালু করা হয়। পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকদের মতে, নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের রূপ হবে এমন যে- সেখানে সবকিছুই এমনভাবে সাজানো হবে। দৃশ্যত তা অংশগ্রহণমূলক বোঝাবে। কিন্তু নির্বাচনটি হবে শুধু ক্ষমতাসীন দলকে বিজয়ী করার একটি আনুষ্ঠানিকতামাত্র।
এবিষয়ে একাধিক বিশেষজ্ঞ খুলনা সিটির সাম্প্রতিক নির্বাচন বিশ্লেষণ করে বলেন, স্বয়ং নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিলো উত্থাপিত অভিযোগসমূহ তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করা। ঢালাওভাবে বলে দেয়া নয় যে, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে।’ এধরণের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তারা কেবল সরকারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলতে থাকলে তা সর্বসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কেননা তাদের মনে রাখতে হবে যে, পরাজিত পক্ষও বিপুল ভোটের অধিকারী এবং এই ভোটারদের কাছেও নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ। এছাড়াও প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা শুধু বিজয়ী পক্ষের নয়, সাধারণ ভোটারের কাছেও দায়বদ্ধ। সেই ভোটাররা বিজয়ী বা পরাজিত- যে পক্ষরেই হোক না কেন।দৈনিক সংগ্রাম

Please follow and like us:

Check Also

এক নারীতে ধরাশায়ী ৩ চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা

বরগুনার তালতলীতে এক নারীতে ধরাশায়ী হয়েছেন তিন চেয়ারম্যান ও এক ছাত্রলীগ নেতা। আলোচিত আপত্তিকর ভিডিওর ঘটনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।