সেতুর জন্য জাসদ ছেড়ে আ’লীগে যোগ দেবেন এমপি বাদল!

ক্রাইমর্বাতা রিপোট:  কালুরঘাট সড়ক কাম রেলসেতু নির্মাণের জন্য এবার নিজ দল জাসদ ছেড়ে প্রয়োজনে আওয়ামী লীগে যোগ দিতেও রাজি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল।

শুক্রবার চট্টগ্রাম ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল জাসদের এই নেতা।

জাতীয় সংসদে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার বলার পরও কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর সড়কসহ রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাটে সেতু নির্মাণের পরিণতি না দেখলে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সংসদ থেকে বেরিয়ে যাব।

মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, কালুরঘাট সেতুটি তার নির্বাচনী এলাকায় পড়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় সেতুটি দিয়ে ট্রেন ও যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন এ অঞ্চলের মানুষ।

মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, সংসদে গত ১০ বছর কালুরঘাট সেতুর কথা বলে আসছি। কিন্তু কী কারণে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে না, তা আমার অজানা। এটা চট্টগ্রামের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ।

তিনি আরও বলেন, টানেল, জলাবদ্ধতা প্রকল্প, ফ্লাইওভারসহ পুরো চট্টগ্রামে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হচ্ছে, অথচ হচ্ছে না কেবল কালুরঘাট সেতু। চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু প্রকল্পের জন্য সরকারের খরচ হবে ৩৩৯ কোটি টাকা।

কোরিয়ান একটি কোম্পানি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, রেল কাম সড়ক সেতুটির নির্মাণ ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ২শ’ কোটি টাকা।

এর মধ্যে ৮০০ কোটি টাকা কোরিয়া দেবে বলেছে। বাকিটা বাংলাদেশ সরকারকে দিতে হবে। এরপরও এই সেতু হচ্ছে না।

Please follow and like us:

Check Also

সাতক্ষীরায় ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার,হোটেল রেস্তোরা ও বেকারি শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

সাতক্ষীরায় ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১১তম বছর পূর্তি উপলক্ষে র‌্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।