গুচ্ছ পদ্ধতির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ইবি শিক্ষকের একক প্রতিবাদ

শাহীন আলম, ইবি প্রতিনিধি:

গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে একক প্রতিবাদ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন।

সোমবার (২৯ আগষ্ট) বেলা ১১ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‍্যালের পাদদেশে দাড়িয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি। এসময় গুচ্ছের বেশ কিছু নিয়ম নিয়ে এবং গুচ্ছ পরবর্তী ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আইনে বলা আছে স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জঃ/ফার্ম ইত্যাদি) শ্রেনীতে ভর্তি করবে বিভাগ। যার বেশিরভাগ গুচ্ছের প্রকাশিত ভর্তি নির্দেশিকায় নেই। ভর্তি নির্দেশিকার প্রথম লাইনে লেখা আছে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি তাহলে কি ইঞ্জিনিয়ারিং বা ফার্মেসি ইত্যাদিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না! GST ভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কি কি বিভাগ আছে এবং কোন বিভাগে কতটি আসন আছে ভর্তি নির্দেশিকায় এমন তথ্য কি খুঁজে পাওয়া যাবে! এগুলো উল্লেখ না করার উদ্দেশ্য কি এমন যে, ভর্তি করার সময় যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় হুট করে নতুন কোন বিভাগ খুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া! কিন্তু ভর্তি নির্দেশিকা প্রণয়ন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মুল্যয়নে বিভাগগুলো থেকে যাচ্ছে অন্ধকারে। এতে করে শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে গুচ্ছ প্রক্রিয়াটিকে আপন করে নিতে সমস্যা হচ্ছে বলে আমার কাছে প্রতিয়মান হয়েছে।

তিনি গুচ্ছের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, এ বছরের শুরুতে যখন গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের বিপক্ষে মতামত প্রদান করতে শুরু করলেন তখন গুচ্ছ কেন্দ্রীয় কমিটি সকলকে আশ্বস্ত করলেন যে এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আলাদাভাবে কোন আবেদন করতে হবে না। এক পরীক্ষা, এক ফলাফল এবং সেই ভিত্তিতে কেন্দ্রীয়ভাবে যোগ্য শিক্ষার্থীদের বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা কি দেখছি এবং শুনছি! গুচ্ছ পরীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় নতুন শর্ত আরোপ করে শিক্ষার্থীদের উপর। নির্দিষ্ট বিষয় পেতে নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু গুচ্ছের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে সেটা পরিষ্কার করে বলেনা। যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পারদর্শীতা অনুযায়ী পরীক্ষায় বিষয়সমূহ উত্তর করে আসলেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পছন্দের বিষয়টি পাবেনা। এটা কি স্বেচ্ছাচারিতা বা অন্যায় নয়।

সবশেষে তিনি গুচ্ছের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ক’ ইউনিটের বাতিলকৃত OMR উত্তরপত্রের আবার মূল্যায়নের সুযোগ দেওয়া হতে পারে। গুচ্ছে ওএমআর বাতিল হওয়াদের ভাগ্য খুলতে যাচ্ছে। তাহলে গুচ্ছ মূল্যায়ন কমিটি উত্তরপত্রগুলো বাতিল করার জন্য কি অনুতপ্ত!

Please follow and like us:

Check Also

স্মার্ট বাবুগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপনের গনসংযোগ

বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ঃ স্মার্ট বাবুগঞ্জ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।