সাতক্ষীরায় জরা রোগে পাঁচ গরুর মৃত্যু : অসুস্থ অর্ধশতাধিক

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ীর বিভিন্ন এলাকায় জরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে পাঁচটি গরুর মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ রয়েছে আরো অর্ধশতাধিক। রোগের কোনো উপায় না পেয়ে গরুর খামার মালিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের এল্লারচর, বালিথা, শিমুলবাড়িয়া, ফয়জুল্লাহপুর, ফিংড়ী, গোবিন্দপুর, মির্জাপুর, সুলতানপুর, গাভা, ব্যাংদহা, জোড়দিয়া, গোবরদাঁড়ি, কুলতিয়া, হাবাসপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জরা রোগ দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে দক্ষিণ ফিংড়ী কাপালীপাড়ার খামার মলিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেন জানান।

জরারোগ দেখার ফলে দুচিশ্চায় পড়েছেন এলাকার সাধারণ গরুর খামার মালিকরা। এলাকার কয়েকজন স্থানীয় গরুর খামার মালিকের মধ্যে দীনবন্ধু বাছাড়, সাধন চন্দ্র মন্ডল ও ইউপি সদস্য সুকুমার সরদার জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে গরু পালন করে আসছি কিন্তু কখনো জরা রোগের সমস্যায় পড়িনি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এলাকায় বেশ কয়েকটি গরু মারা গেছে। এরমধ্যে ইউপি সদস্য সুকুমার সরদারের দুটি গরু, মানস সরদারের একটি গরু, নির্মল মন্ডল একটিসহ এলাকায় ৫টি গরু মারা যায়।
তারা আরো জানায়, আমাদের ফিংড়ী ইউনিয়নের সরকারি কোনো পশু ডাক্তার না থাকার কারণে চরমভাবে ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। তারা যশোর থেকে সরকারি ডাক্তার জয়দেব কুমার সিংহকে জরা রোগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। জয়দেব কুমার সিংহ আশ্বাস দেন, তার চিকিৎসা নিলে আক্রান্ত গরু সুস্থ হবে ও সুস্থ গরু আর নতুন করে আক্রান্ত হবে না। খামারিদের অভিযোগ, জরা রোগে আক্রান্ত গরুর শরীর থেকে রক্ত নিয়ে সুস্থ গরুর শরীরে পুশ করেন। ৭২ঘন্টার পর থেকে চিকিৎসা দেওয়া সব গরু পর পর ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে শুরু করে। এতে খামার মালিকরা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসময় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

Please follow and like us:

Check Also

সাতক্ষীরায় তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপণে সয়লাব

জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ২০০৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ প্রণয়ন এবং ২০০৬ সালে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।