মাওলানা সাঈদী অসুস্থ, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিনিধি:ঢাকা : জামায়াতে ইসলামীর নেতা, কারাবন্দী মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসা করানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মাওলানা সাঈদীকে ঢাকায় এনে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার পর আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুপুরে হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা হয় জামায়াত প্রবীণ নেতাকে। তাকে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগেও নেয়া হয়। আর চিকিৎসা শেষে বেলা দুইটার দিকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হৃদরোগের সমস্যা ছাড়াও হাঁটু এবং কোমড়ে সমস্যায় ভুগছেন সাঈদী।

এক বছর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পর থেকে সাঈদীর চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তাকে (সাঈদী) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে আবার কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে।’ ‘তিনি ডায়াবেটিকসহ কিছু রোগে ভুগছেন বলে জানানো হয়।’

মাওলানা সাঈদীকে হাসপাতালে আনার খবরে তার ছেলে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদীও সেখানে যান। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘ তাঁর বাবার হার্টে পাঁচটি রিং পড়ানো আছ। ডায়েবেটিকের সমস্যাও আছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তিনি হাঁটু এবং কোমড়ে সমস্যার কারণে কারও সহযোগিতা ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারেন না।’

‘আমরা গত দুই বছর থেকে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জন্য অনুরোধ করে আসছি। এতদিন পর অবশেষে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে শুধু অর্থোপেটিক বিভাগে দেখানো হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জামায়াতের তৎকালীন নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ। তবে এর আড়াই বছর আগে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল।

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ   কঠোর নিরাপত্তা বলায়ের মধ্য দিয়ে  আজ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে

অাসেন মানবতা বিরোধী অপরাধে অামৃত কারাদন্প প্রাপ্ত  অাসামী মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী।

তার হাঁটু ও কোমড়ের চিকিৎসার জন্য এনেছিল। হাঁটু ও কোমড়ের তীব্র ব্যথায় তিনি কষ্ট পাচ্ছেন দীর্ঘদিন। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে আবার আনতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানালেন। এসময় তার সাথে দেখা করেন,তার ছেলে সহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ। এক নজরে দেখতে হাসপাতালের প্রধান ফটকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে অনেকে। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হয়।

হুজুর সবাইকে সালাম জানিয়েছেন। দোয়া চেয়েছেন। বলে তার পুত্র জানা

 

একজন মন্তব্য করেছেন

দির্ঘ বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি দলমত নির্বিশেষে ভালোবাসি তাকে, আজ রাজধানির পিঁজি হাঁসপাতালে কোমর ও হাঁটুর চিকিৎসার জন্য আমার প্রিয় ব্যাক্তি কোরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীকে আনা হয়।
তোমার মুক্তির প্রতিক্ষায় রয়েছে লক্ষকোটি মানুষ!!( সাথে ছিল তার ছেলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী)

অল্পক্ষণের মধ্যে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়।

Please follow and like us:

Check Also

দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: জয়নুল আবদিন

‘রাওয়ালপিন্ডি থেকে মুক্ত হয়ে দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।