সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনি মারা গেছে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার কামারবাসা গ্রামের নিজ বাড়িতে সে মারা যায়। মুক্তামনির বাবা ইব্রাহীম হোসেন তার মৃত্যুর একথা জানিয়েছেন।
মুক্তামনির শারীরিক অবস্থা সম্প্রতি বেশ খারাপ হয়ে পড়েছিল। ডান হাতটি আরও ফুলে গিয়েছিল। তাকে নিয়ে চিন্তায় ছিল পরিবার। কয়েকদিন থেকেই জ্বরেও ভুগছিল সে। মঙ্গলবার রাত থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের অর্থো সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. হাফিজ উল্লাহ বলেন, ‘মুক্তামনির জেনারেল কন্ডিশন খুবই খারাপ। রক্তশূন্যতা দেখা দিয়েছে। তার হাতের যে টিউমার অপারেশন করা হয়েছিল, সেটা আবার বড় আকার ধারণ করেছে। টিউমারে দুই/তিনটি ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন ওর শরীরে অনেক জ্বর ছিল। সকাল থেকে খাওয়া-ধাওয়া করেনি। জ্বরের জন্য ওষুধ দিয়েছি। ওর যে অবস্থা সাতক্ষীরাতে সেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। সেজন্য ঢাকায় পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছি।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে একমাসের জন্য গত বছর ডিসেম্বরে বাড়িতে এসেছিল মুক্তামনি। এরপর ছয় মাস অতিবাহিত হলেও সে আর ঢাকায় যেতে চায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুক্তামনির বিরল রোগের খবর প্রকাশের পর টনক নড়ে স্বাস্থ্য বিভাগের। প্রথমে স্বাস্থ্যসচিব তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসার দায়ভার গ্রহণ করেন।
ওই বছরের ১১ জুলাই ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় মুক্তামনিকে। সেখানে তার চিকিৎসায় গঠন হয় মেডিকেল বোর্ড। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে মুক্তা মনির হাত রক্তনালীর
টিউমারে আক্রান্ত। কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করে অপসারণ করা হয় তার হাতের অতিরিক্ত মাংস পিণ্ড।
Check Also
দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ। দেশব্যাপি জারি করা হয়েছে হিট এলার্ট। এমন পরিস্থিতিতে বৈরী হাবহাওয়ার …